ঘুমের ‍সঠিক সময় কখন?

ঘুমের ‍সঠিক সময় কখন এইটা আমরা অনেকেই জানিনা। আমার এই পোষ্ট টা দেখার পর আশা করি সবারই জানা হয়ে যাবে।   



স্বাস্হ্যকর ঘুম (Healthy Sleep)

 ঘুমের সময়ঃ 

👁  ঈশার সলাতের পর:

   রাত  ৯টা থেকে ১২টাএই সময় ঘুম খুবই উপকারী।

       এই সময় যে কেউ ৮০% গভীর ঘুম পেতে পারে। 

        👀 এ সময় ১ ঘন্টার ঘুম=৩ ঘন্টার ঘুম।

        👀 এই সময় পাইনাল গ্রন্থি হরমোন মেলাটোনিন উত্পাদন করে। But তবে দুটি শর্ত রয়েছে-

‌‌‌‌‌‌‌‌‌    1.কক্ষটি নিঃশব্দ ও অন্ধকার হতে হবে।

      2. পূর্ণভাবে আরামে শায়িত হতে হবে।











👁 রাত ১২টা থেকে ২টাঃ

     👀 এই সময় ২০% গভীর ঘুম হয়। বাকী ঘুম গুলো ঘুমন্ত স্বপ্ন হয়।

     👀 এই সময় ১ঘন্টা ঘুম=১ঘন্টা ঘুম।












👁 রাত ২টা থেকে ফজরের আগ পর্যন্তঃ

এই সময়টা একটা উত্তম সময় যা মন মানসিকতা চিন্তাশীলতা,ও শরীরকে প্রশান্ত রাখে৷ 

এই সময় মুখস্ত করা, আল্লাহকে স্মরন করার জন্য মন সুস্হির থাকে।

 মাদ্রাসায় হাফেজগন এসময় ঘুম থেকে উঠে কোরআন মুখস্থ করেন৷ 

যে কোন মুখস্থ করার সবচে উত্তম সময় এটি৷ 








👁 ফজরের পর ঘুমঃ 

এই সময় ঘুমের কোন উপকারিতা নেই।

এই সময় ৩ ঘন্টা ঘুম=১ঘন্টা ঘুম।

আমাদের সমাজে বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীরা এ সময় ঘুমিয়ে থাকে, 

 কিন্তু 

এই সময়ের ঘুমে শরীরে নির্জীবতা, অলসতা, অবসান্নতা, মাথাব্যাথা হয় এবং  মনঃসংযোগের অভাব দেখা দেয়। এটা স্মৃতি শক্তি হ্রাস ও মেধা বিকাশে অন্তরায়৷ 











👁 ফজরের পর থেকে সূর্য উঠা পর্যন্ত ঘুমঃ

এই সময় পিনিয়াল গ্রন্হি অন্য আরেক রকম হরমোন সেরোটোনিন ( Serotonin)  উৎপন্ন করে।এবং এটা ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় সময়ে উৎপন্ন হয়।

তবে শর্ত হলো-

 1.ব্যক্তিটি জাগ্রত থাকতে হবে।

  2. হালকা নড়াচড়া থাকতে হবে (like mental exercise)

 যেমন এক ব্যক্তি মাসজিদে গিয়ে জামায়াতে সলাত আদায় করল।

এ সময় কুরআন তেলোয়াত স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে।আত্নাকে প্রশান্ত করে।

এ সময় দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর প্লান করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।

সূর্যোদয়ের পর হালকা ব্যায়াম ( কমপক্ষে ৪০মি:) ও শ্রম সাধ্য কাজ শুরু করা ভাল।












👁 রাত্রি জাগরণের ক্ষতি কি?

দেরীতে ঘুমানোর কারনে হরমোন ঘাটতির জন্য অ্যালজেইমার/স্মৃতিভষ্ট, হবার ঝুকি থাকে।












👁 বিজ্ঞানসম্মত সুন্নত ঃ

রাসূল (সাঃ) এর জীবন-যাপন অনুসরন করলে দেখা যায় তিনি ঈশার সালাতের পরই ঘুমিয়ে পড়তেন এবং গভীর রাত থেকে ফজর পর্যন্ত এবাদতে মশগুল থাকত। বর্তমানে আমরা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকি এবং নিজের  মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হ্রাস করছি৷ 

তাই নিজের মেধার বৃদ্ধি ও বিকাশে  দুনিয়া ও আখিরাতের সুরক্ষায় আমাদের বিজ্ঞান সম্মত সুন্নাহ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়া প্রয়োজন।

Post a Comment

0 Comments